শামীমা আফরোজের এক গুচ্ছ কবিতা
স্মৃতিদের পায়চারী পুরাতন আড্ডাখানায়
বেল তলে কত তাল বাহানায়-
‘প্রিয়দা’ মনে আছে আচার গল্প?
মিনির কাঁচের চুড়ি !
একটু পরপর জোঁনাকির আদর
মিষ্টি সে শব্দদের মায়াবী চাঁদর!
প্রিয়দা রজনীগন্ধা কেমন আছে?
মৌচাকে মৌমাছির গল্প বোনে আর!
চোরাবালিতে ভুলে পা ফেলে এখনো!
অবুঝ সবুজ সরলতা কমেছে কিছু? নাকি
রয়ে গেছে ভুলে,মিথ্যে রঙ্গে ?
রঙ্গিন বর্ণদের অর্থের খোঁজে ! তবে
সহজাততায় বোনটি আপনার বেশ!
আচ্ছা -
রঙ্গমালায় চোখ রাখলে
এখনো স্মরনে আসি আমি!
মনে আছে,গাছটা মালি’দার থেকে নেয়া
ভিজে যাব ভয়ে গাছ আর ছাতা আমার হাতে দিয়ে
টাকাটা আপনিই দিয়েছিলেন সেদিন’
টুনি বলল গাছটা বড় হয়েছে, যত্নও করেন বেশ
গাছটার মত ভাগ্য কজনের হয় বলেন!
প্রিয়দা প্রেমীর ছবি দেখলাম সেদিন
কি মায়াবী চাহনী! চোখে তার এক আকাশ সুখ লুকানো যেন
হাসিতে মুক্তো ঝরছে।
আপনার মতন গড়ন একেব্বারে ,কি আদুরে !
কালীদের পুকুর ঘাটে বালুকা বেলায়
প্রমচিহ্নের নাম ‘প্রেমী’ ঠিক করেছিলাম দুজনে, বেশ মনে রাখলেন দেখছি !
শুধু আমিই হতভাগী
আমাকেই ভুলে গেলেন প্রিয়দা !
চলবে কি সাথে আমার?
একবার কি আসবে সমুদ্র-তটে
গোধূলি বেলাতে?
একটু বসবে দু'দন্ড কথায়,
এক চিমটি ভালোবাসাতে!
একবার তাকিয়ে দেখবে আমার চোখেতে
মায়াডোরে বাঁধবে কি খানিকক্ষণ?
একটু হাসবে কি
না পাওয়ার তীব্র স্রোতে?
মিলবে কি অনুক্ষণ!
একবার হাত রাখবে কি হাতে?
দূরপানে সুখ বিলাতে যাব,
একবার ছোঁবে কি গোলাপী ছোঁয়ায়?
ভালোবাসাতে হারাবো!
চলবে কি সাথে আমার?
ঐ সমুদ্র ঢেউ'এ
দু'জনাতে সুখ কুড়াবো!
সাঁজিস তুই আমার জন্যে
সাঁজিস তুই রোদ্দুরে হাজার রঙ্গে
কোকড়ানো মলিন গা, এক ঝাঁকি এলোচুলে
কাঁধে বড় পুটলি, গায়ে ময়লা আর
প্রাণ খোলা হাসি লয়ে।
সাঁজিস তুই অবহেলার হাজার রঙ্গে
থাকিস তুই রোদে পোড়ানো, বৃষ্টি ভেজা গাছ তলে,
কাঁদিস তুই এক টুকরো রুটির জন্য লড়াই করে,
ভাবিসনা ভুলেও জমিদার আমরা মানুষ খারাপ,
প্রতিক্ষণে রঙ্গিন এ পৃথিবীর ধাক্কা খেয়ে
সাঁজিস অবেলায় তুই গোধূলি রঙ্গে!
মিথ্যা অধিকারের নামে যদি কখনো তোর মন ভাঙ্গে,
পুটলি পিঠে ছুটিস আবারো
না পাওয়ার সব কষ্ট লয়ে।
সাঁজিস অবেলায় একবার তুই আমার জন্যে
মন ভোলানো নীলাম্বরী নতুন রঙ্গে,
দামি গাড়ি বিশাল বাড়িতে বসে না হয় তাকাবো কখনো দু'এক বার
তোর দিকে অচেনা ঢঙ্গে।
সাঁজিস হাজারো বার তুই এমন করে,
দয়াহীন নির্বোধ এ আমার জন্যে
একটু দূরে থাকিস-
দেখিস হাত যেন দিয়ে দিসনা আমার
স্বপ্ন বিলাস রঙ্গিন ঘরে
তবুও থামিস না ওরে! থামিস না !
সাঁজিস প্রতিদিন 'নির্বোধ' এ আমার জন্য।
ত্রিশ বছর আগে
বাঁশি হাতে ডাকবো আবারো
যেমন ডাকতাম শিমুল মায়ায়
একবার এসো জোছনা রাতে কলমি তলায়!
চট করে দিদির থেকে বাতাসা আনবো দুটো,
খাবো দুজনে দু'দন্ড কথায়
অশ্রুতে সব ক্ষত!
বাঁশ বাগানে জোনাকির দল আসবে ছুটে দলে
মিলতে তাদের পুরনো সাথীর
প্রেমের সাক্ষী হয়ে!
চাঁদ তারা আর জোনাকির আলোয়
দুচোখ ভরে দেখবো তোমার মুখ!
বলব সুখে তোমায় দেখে
প্রিয় তুমি আছো তেমন, তেমনি আঁখি
তেমনি কেশে, যেমন ছিল ঠোঁট
গন্ধরাও আগের মতন।
তোমার দেখায় যেমন পেতাম স্বর্গ জোড়া সুখ!
প্রিয় তুমি আজো তেমন
যেমন ছিলে
একিভাবে
কৃষ্ণচূড়ার বৈশাখি রাতে
ত্রিশ বছর আগে!
#গল্প
ReplyDeleteপ্রিয়দা ও কখনোই ভুলে যায়নি!
শুধুই চাপা দিয়ে রেখেছে স্মৃতির ধূলিকণায়..
#চলবে_কি_আমার_সাথে
তাকে নিয়ে একসাথে দেখা সূর্যাস্ত কখনোই দেখা হবে না! কেননা সে সূর্যাস্ত দেখায় বিভোর হলেও আমি তো বিমুগ্ধ নয়নে তাকেই দেখবো!