কনফুসিয়াসের জীবন থেকে পাঁচটি নীতি | জুনায়েত নিলয়
"যদি তুমি এক বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে চাও, তাহলে ধানের চাষ কর। যদি দশ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে চাও, তাহলে গাছ লাগাও। আর যদি তুমি সারা জীবনের জন্য বিনিয়োগ করতে চাও, তাহলে শিক্ষাদান কর।" - কনফুসিয়াসের এই উক্তি অনুসরণ করে আজ চীনের শিক্ষার হার ৯৫.১%।
কনফুসিয়াস- প্রখ্যাত চৈনিক দার্শনিক এবং চিন্তাবিদ। তার দর্শন এবং রচনাগুলো চীনা সভ্যতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। জাপান, কোরিয়া, সিংগাপুর সহ পূর্ব এবং দক্ষিণ- পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের সংস্কৃতি এবং জীবনধারার সাথে কনফুসিয়াসের দর্শন এবং উক্তি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। কনফুসিয়াসের জীবন থেকে নেওয়া এমন পাঁচটি উক্তি সম্পর্কে চলো জেনে নেওয়া যাক!
1. Our greatest glory is not in never falling but in rising everytime we fall:
হোঁচট না খেয়ে কখনো কাউকে হাঁটতে শিখতে দেখেছ? কিংবা ব্যর্থতার পরশ না পাওয়া কোন সফল ব্যক্তিত্ব? অথবা ভুল না করেই একটা গোটা জীবন পাড়ি দেওয়া মানুষ? কখনো দেখনি, তাই না? প্রকৃতপক্ষে এমন মানুষের বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নেই। জীবনে চলার পথে প্রতিনিয়ত বাধা-বিপত্তি আসবে এটাই স্বাভাবিক। আর যদি না আসে? তার মানে তোমার জীবন থমকে রয়েছে, একটুখানি গতির প্রয়োজন।
কনফুসিয়াসের এই উক্তিটি আমাদের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ঘাত- প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে যাই। আমরা ব্যর্থ হই, মুষড়ে পড়ি, হতাশ হয়ে যাই। পরিণামে আমরা আরো বেশি হতাশা আমাদের ঘিরে ধরে। কিন্তু, জীবনে কখনোই ব্যর্থতা ছাড়া সফলতার ছোঁয়া পাওয়া যায় না। এবং তুমি যদি কখনো ব্যর্থ না হও, তার মানে তোমার স্থির করা লক্ষ্য খুব সাধারণ ছিল কিংবা তুমি তোমার স্থির করা লক্ষ্যের জন্য কখনো পদক্ষেপ নাও নি।
2. Learning without thought is labor lost, thought without learning is perilous.
একটা ছোট্ট উদাহরণ দিয়ে শুরু করা যাক! স্কুলে টিচার যেদিন আমাদের অনেক বাড়ির কাজ দেয়, সেদিন আমরা বাসায় এসেই পড়তে বসে যাই। কারো কথায় কান দেওয়ার মত সময় নেই আমাদের সেদিন। কিন্তু এ অবস্থায় পড়ে আমরা না বুঝেই পড়া মুখস্থ করা শুরু করে দেই। ফলাফল, পড়াগুলো মনে তো থাকেই না, উপরন্তু সময় নষ্ট এবং পন্ডশ্রম। যদি একই পড়া গুলো আমরা তাড়াহুড়ো না করে, বরং বুঝে পড়তাম ফলাফল অনেক ভাল হত। একইভাবে, তুমি যখনই কিছু শিখবে, তার ভেতরের ব্যাপারগুলো চিন্তা করার চেষ্টা করবে, বোঝার চেষ্টা করবে। নয়তো এই শিক্ষা পন্ডশ্রম ছাড়া কিছুই নয়।
এবার আরো একটা উদাহরণ দেওয়া যাক! মনে কর, তোমার মাথায় একটা আইডিয়া চলে আসল। তুমি চিন্তা করলে একটা অনলাইন বুক শপ খুলবে। এই অনলাইন বুক শপ নিয়ে তোমার মাথায় অনেক চিন্তা ঘোরাফেরা করে। তুমি ভাবলে শুধু অনলাইন শপ খুললেই তো হবে না, পাশাপাশি একটা অ্যাপস ও আনা করা দরকার যেন সহজেই বইগুলো অর্ডার করা যায়। তোমার মস্তিষ্ক এমন অনেক আইডিয়ার ভান্ডার বলা চলে। কিন্তু দুঃখের বিষয় তুমি তোমার এই চিন্তা ভাবনা গুলোকে কাজে লাগানোর জন্য কিছুই করছ না। অ্যাপস তৈরির চিন্তা তোমার মাথায় আছে কিন্তু সেটি চিন্তা পর্যন্ত। চিন্তার বাস্তবায়নের জন্য শেখার যে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন এটি তোমার মধ্যে নেই।
3. I hear and I forgot, I see and I remember, I do and I understand
ছোটবেলায় টিচার বলত কোন কিছু দশবার পড়ার থেকে একবার লিখে ফেললে নাকি বেশি মনে থাকে। তখন এই কথার শানে- নযুল বুঝতে না পারলেও যতই বড় হতে লাগলাম ততই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল টিচারের কথাগুলো। মূলতঃ যে কোন বিষয়ই বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের উপর নির্ভরশীল। আমাকে সারাদিন অনেক কথা শুনতে হয়, কিন্তু দিন শেষে সব কথা আমার মনে থাকে না। আবার, সারাদিন আমি অনেক কিছু দেখি। এসবের সবকিছুও আমার পুরোপুরিভাবে মনে থাকে না। কিন্তু সারাদিনের মধ্যে আমি যে কাজগুলো করি সেগুলো আমি কখনোই ভুলি না।
তোমার ক্লাসে কেউ যখন কোন একটি অধ্যায়ের অংশ পড়ে শোনায়, তার বেশিরভাগ তুমি বাসায় গিয়ে ভুলে যাও। তুমি যখন বাসায় গিয়ে ক্লাসের সেই অধ্যায়ের পড়াগুলো বই থেকে দেখা শুরু কর, তখন তোমার ঠিক মনে পড়ে যায় ক্লাসে কি কি পড়ানো হয়েছিল। কিন্তু ক্লাসের পড়াগুলোই তুমি যখন হাতে- কলমে করা শুরু কর, তখন তুমি পুরো ঘটনা বুঝে উঠতে শুরু কর।
উপরের উদাহরণগুলোর মত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেও তত্ত্বীয় বিষয়ের তুলনায় ব্যবহারিক বা বাস্তব অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। যে মানুষ হাতে- কলমে কোন কাজ শিখেছে কিংবা করেছে, সেই নির্দিষ্ট কাজে সে অন্য দশজনের তুলনায় এগিয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এ কারণেই কর্মক্ষেত্রেও অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে।
4. It does not matter how slowly you go as long as you do not stop.
খরগোশ আর কচ্ছপের গল্পের কথা মনে আছে? খরগোশের গতি অনেক বেশি হওয়ার পরেও কচ্ছপের হার না মানা মানসিকতার কাছে সে হেরে গিয়েছিল। ঠিক এই উক্তিটি কনফুসিয়াসও বলে গিয়েছেন। তোমার কাজের গতি যেমনই হোক, তোমার মধ্যে যদি হার না মানা মানসিকতা এবং দৃঢ় সংকল্প থাকে, লক্ষ্যে পৌঁছানো থেকে কেউ তোমাকে আটকাতে পারবে না।
ধর, তুমি একটা প্রজেক্ট শুরু করলে। প্রজেক্টের নাম, "প্রজেক্ট দুঃসাধ্য" ! অসাধ্য নয় কিন্তু! এই দুঃসাধ্য প্রজেক্ট সাধন করতে গিয়ে অনেক বাধা- বিপত্তির সম্মুখীন হবে এটাই স্বাভাবিক। হয়তো অনেকের হাসির পাত্র ও হয়ে যেতে পার! যত বাধা- বিপত্তি আসুক, তুমি যদি তোমার লক্ষ্যে অটুট থেকে এক পা- দু পা করে সামনে এগিয়ে যাও, "প্রজেক্ট দুঃসাধ্য" একদিন সাধন হবেই। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কাজ, এক একটি প্রজেক্ট দুঃসাধ্য। এই দুঃসাধ্য কাজগুলো সম্পন্ন করতে প্রয়োজন দৃঢ় সংকল্প, উদ্যম এবং হার না মানা মানসিকতা।
5. When it is obvious that the goals cannot be reached, don't adjust the goals, adjust the action steps.
চল, এবার আফ্রিকার ঘন জঙ্গল থেকে ঘুরে আসা যাক! এ এমন এক জঙ্গল যেখানে কখনো মানুষের পায়ের চিহ্ন পরে নি। জঙ্গল পাড়ি দিতে গিয়ে দেখা গেল, বন্য বিভিন্ন প্রাণীতে ভরপুর এই জায়গা। এই সামনে বাঘ পড়ছে, তো এই সাপ! নিস্তার নেই এক ফোঁটাও। বোঝাই যাচ্ছে, এই জঙ্গল পাড়ি দিতে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত। তাহলে কি করা যায়? আফ্রিকার গহীন জঙ্গল পাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা কি বাদ দিয়ে দেব? অবশ্যই না! বরং আমাদের ভিন্ন উপায় অবলম্বন করে এগিয়ে যেতে হবে। হোক সেটা আকাশপথে কিংবা নৌপথে।
জীবনের কিছু কিছু মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্যগুলো আমাদের কাছে একেবারে অসম্ভব বলে মনে হয়। এমন মুহূর্তগুলোতেও কখনোই লক্ষ্য পরিবর্তন করলে হবে না। বরং আমাদের কাজের পন্থা কিংবা গতি প্রকৃতি পরিবর্তন করে লক্ষ্য অর্জনে ভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে হবে।
কনফুসিয়াস- প্রখ্যাত চৈনিক দার্শনিক এবং চিন্তাবিদ। তার দর্শন এবং রচনাগুলো চীনা সভ্যতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। জাপান, কোরিয়া, সিংগাপুর সহ পূর্ব এবং দক্ষিণ- পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের সংস্কৃতি এবং জীবনধারার সাথে কনফুসিয়াসের দর্শন এবং উক্তি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। কনফুসিয়াসের জীবন থেকে নেওয়া এমন পাঁচটি উক্তি সম্পর্কে চলো জেনে নেওয়া যাক!
1. Our greatest glory is not in never falling but in rising everytime we fall:
হোঁচট না খেয়ে কখনো কাউকে হাঁটতে শিখতে দেখেছ? কিংবা ব্যর্থতার পরশ না পাওয়া কোন সফল ব্যক্তিত্ব? অথবা ভুল না করেই একটা গোটা জীবন পাড়ি দেওয়া মানুষ? কখনো দেখনি, তাই না? প্রকৃতপক্ষে এমন মানুষের বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নেই। জীবনে চলার পথে প্রতিনিয়ত বাধা-বিপত্তি আসবে এটাই স্বাভাবিক। আর যদি না আসে? তার মানে তোমার জীবন থমকে রয়েছে, একটুখানি গতির প্রয়োজন।
কনফুসিয়াসের এই উক্তিটি আমাদের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ঘাত- প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে যাই। আমরা ব্যর্থ হই, মুষড়ে পড়ি, হতাশ হয়ে যাই। পরিণামে আমরা আরো বেশি হতাশা আমাদের ঘিরে ধরে। কিন্তু, জীবনে কখনোই ব্যর্থতা ছাড়া সফলতার ছোঁয়া পাওয়া যায় না। এবং তুমি যদি কখনো ব্যর্থ না হও, তার মানে তোমার স্থির করা লক্ষ্য খুব সাধারণ ছিল কিংবা তুমি তোমার স্থির করা লক্ষ্যের জন্য কখনো পদক্ষেপ নাও নি।
2. Learning without thought is labor lost, thought without learning is perilous.
একটা ছোট্ট উদাহরণ দিয়ে শুরু করা যাক! স্কুলে টিচার যেদিন আমাদের অনেক বাড়ির কাজ দেয়, সেদিন আমরা বাসায় এসেই পড়তে বসে যাই। কারো কথায় কান দেওয়ার মত সময় নেই আমাদের সেদিন। কিন্তু এ অবস্থায় পড়ে আমরা না বুঝেই পড়া মুখস্থ করা শুরু করে দেই। ফলাফল, পড়াগুলো মনে তো থাকেই না, উপরন্তু সময় নষ্ট এবং পন্ডশ্রম। যদি একই পড়া গুলো আমরা তাড়াহুড়ো না করে, বরং বুঝে পড়তাম ফলাফল অনেক ভাল হত। একইভাবে, তুমি যখনই কিছু শিখবে, তার ভেতরের ব্যাপারগুলো চিন্তা করার চেষ্টা করবে, বোঝার চেষ্টা করবে। নয়তো এই শিক্ষা পন্ডশ্রম ছাড়া কিছুই নয়।
এবার আরো একটা উদাহরণ দেওয়া যাক! মনে কর, তোমার মাথায় একটা আইডিয়া চলে আসল। তুমি চিন্তা করলে একটা অনলাইন বুক শপ খুলবে। এই অনলাইন বুক শপ নিয়ে তোমার মাথায় অনেক চিন্তা ঘোরাফেরা করে। তুমি ভাবলে শুধু অনলাইন শপ খুললেই তো হবে না, পাশাপাশি একটা অ্যাপস ও আনা করা দরকার যেন সহজেই বইগুলো অর্ডার করা যায়। তোমার মস্তিষ্ক এমন অনেক আইডিয়ার ভান্ডার বলা চলে। কিন্তু দুঃখের বিষয় তুমি তোমার এই চিন্তা ভাবনা গুলোকে কাজে লাগানোর জন্য কিছুই করছ না। অ্যাপস তৈরির চিন্তা তোমার মাথায় আছে কিন্তু সেটি চিন্তা পর্যন্ত। চিন্তার বাস্তবায়নের জন্য শেখার যে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন এটি তোমার মধ্যে নেই।
3. I hear and I forgot, I see and I remember, I do and I understand
ছোটবেলায় টিচার বলত কোন কিছু দশবার পড়ার থেকে একবার লিখে ফেললে নাকি বেশি মনে থাকে। তখন এই কথার শানে- নযুল বুঝতে না পারলেও যতই বড় হতে লাগলাম ততই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল টিচারের কথাগুলো। মূলতঃ যে কোন বিষয়ই বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের উপর নির্ভরশীল। আমাকে সারাদিন অনেক কথা শুনতে হয়, কিন্তু দিন শেষে সব কথা আমার মনে থাকে না। আবার, সারাদিন আমি অনেক কিছু দেখি। এসবের সবকিছুও আমার পুরোপুরিভাবে মনে থাকে না। কিন্তু সারাদিনের মধ্যে আমি যে কাজগুলো করি সেগুলো আমি কখনোই ভুলি না।
তোমার ক্লাসে কেউ যখন কোন একটি অধ্যায়ের অংশ পড়ে শোনায়, তার বেশিরভাগ তুমি বাসায় গিয়ে ভুলে যাও। তুমি যখন বাসায় গিয়ে ক্লাসের সেই অধ্যায়ের পড়াগুলো বই থেকে দেখা শুরু কর, তখন তোমার ঠিক মনে পড়ে যায় ক্লাসে কি কি পড়ানো হয়েছিল। কিন্তু ক্লাসের পড়াগুলোই তুমি যখন হাতে- কলমে করা শুরু কর, তখন তুমি পুরো ঘটনা বুঝে উঠতে শুরু কর।
উপরের উদাহরণগুলোর মত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেও তত্ত্বীয় বিষয়ের তুলনায় ব্যবহারিক বা বাস্তব অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। যে মানুষ হাতে- কলমে কোন কাজ শিখেছে কিংবা করেছে, সেই নির্দিষ্ট কাজে সে অন্য দশজনের তুলনায় এগিয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এ কারণেই কর্মক্ষেত্রেও অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে।
4. It does not matter how slowly you go as long as you do not stop.
খরগোশ আর কচ্ছপের গল্পের কথা মনে আছে? খরগোশের গতি অনেক বেশি হওয়ার পরেও কচ্ছপের হার না মানা মানসিকতার কাছে সে হেরে গিয়েছিল। ঠিক এই উক্তিটি কনফুসিয়াসও বলে গিয়েছেন। তোমার কাজের গতি যেমনই হোক, তোমার মধ্যে যদি হার না মানা মানসিকতা এবং দৃঢ় সংকল্প থাকে, লক্ষ্যে পৌঁছানো থেকে কেউ তোমাকে আটকাতে পারবে না।
ধর, তুমি একটা প্রজেক্ট শুরু করলে। প্রজেক্টের নাম, "প্রজেক্ট দুঃসাধ্য" ! অসাধ্য নয় কিন্তু! এই দুঃসাধ্য প্রজেক্ট সাধন করতে গিয়ে অনেক বাধা- বিপত্তির সম্মুখীন হবে এটাই স্বাভাবিক। হয়তো অনেকের হাসির পাত্র ও হয়ে যেতে পার! যত বাধা- বিপত্তি আসুক, তুমি যদি তোমার লক্ষ্যে অটুট থেকে এক পা- দু পা করে সামনে এগিয়ে যাও, "প্রজেক্ট দুঃসাধ্য" একদিন সাধন হবেই। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কাজ, এক একটি প্রজেক্ট দুঃসাধ্য। এই দুঃসাধ্য কাজগুলো সম্পন্ন করতে প্রয়োজন দৃঢ় সংকল্প, উদ্যম এবং হার না মানা মানসিকতা।
5. When it is obvious that the goals cannot be reached, don't adjust the goals, adjust the action steps.
চল, এবার আফ্রিকার ঘন জঙ্গল থেকে ঘুরে আসা যাক! এ এমন এক জঙ্গল যেখানে কখনো মানুষের পায়ের চিহ্ন পরে নি। জঙ্গল পাড়ি দিতে গিয়ে দেখা গেল, বন্য বিভিন্ন প্রাণীতে ভরপুর এই জায়গা। এই সামনে বাঘ পড়ছে, তো এই সাপ! নিস্তার নেই এক ফোঁটাও। বোঝাই যাচ্ছে, এই জঙ্গল পাড়ি দিতে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত। তাহলে কি করা যায়? আফ্রিকার গহীন জঙ্গল পাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা কি বাদ দিয়ে দেব? অবশ্যই না! বরং আমাদের ভিন্ন উপায় অবলম্বন করে এগিয়ে যেতে হবে। হোক সেটা আকাশপথে কিংবা নৌপথে।
জীবনের কিছু কিছু মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্যগুলো আমাদের কাছে একেবারে অসম্ভব বলে মনে হয়। এমন মুহূর্তগুলোতেও কখনোই লক্ষ্য পরিবর্তন করলে হবে না। বরং আমাদের কাজের পন্থা কিংবা গতি প্রকৃতি পরিবর্তন করে লক্ষ্য অর্জনে ভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে হবে।
Post a Comment