এক চিলতে রোদ | জুনায়েত নিলয়
সকাল আটটা বেজে কুড়ি মিনিট। জানালার ফাঁক গলে রোদ এসে চোখে লাগছে। দমবন্ধ পৃথিবীতে বেশ সাবলীল তাদের চলাফেরা।
ইদানিং রোদগুলোকে বড্ড কড়া বলে মনে হয়। লকডাউনের মধ্যেও খুব জরুরী প্রয়োজনে কয়েকবার নিচে নামতে হয়েছিল। চোখ খোলা রাখতে পারি নি। হাত দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়েছে। রোদের তেজ বাড়ছে নাকি আমার চোখের তেজ কমছে?
পাখিগুলোকে দেখে খুব ঈর্ষা লাগছে। কি সুন্দর উড়ছে! যেমনটা উড়তাম আমরা। হেঁটে বেড়াতাম শিল্পকলার রাস্তায়। মুরাদপুর - ২ নং গেইট - জিইসি। চকবাজার - জামালখান - আন্দরকিল্লা। সোডিয়াম লাইট তার সবটুক আনন্দ বিলিয়ে দিত আমাদের। সে আনন্দে মাখামাখি হয়ে একসময় ঘরে ফিরতাম।
কোকিলের ডাক শুনলাম হঠাৎ। বসন্ত শেষের পথে, গরম পড়ছে বেশ। তবু কোকিলের মনের বসন্ত শেষ হচ্ছে না। মানুষের বন্দীদশাই কি তবে এ বসন্তের কারণ?
এর আগে কোকিলকে কখনো এভাবে ডাকতে শুনি নি। বোধহয় খেয়াল করিনি। কিংবা ট্রাফিকের কোলাহল আর ব্যস্ত মানুষের হৈ-চৈ এ কোকিল ভুলেই গিয়েছিল সে ডাকতে পারে।
জানালার ওপাশের পৃথিবীটাকে দেখছি। আকাশ কি সবসময় এমন নীল ছিল? গাছের পাতাগুলোকে এতটা সবুজ মনে হচ্ছে কেন?
রোদ এসে চোখে পড়ছে। বড্ড কড়া রোদ।
Post a Comment