বিবশ অনুভূতি | ছিদ্দিকা রুম্পা
আমাকে পেরিয়ে তুমি হেঁটে যাচ্ছো পথে
এ আমি মানতেই পারিনা।
আমাকে ছাড়া ভীষণ ভালো আছো ও শহরে
এ আমি ভাবতেই পারিনা।
আমাকে না দেখে কেটে যাচ্ছে বিকেলগুলো
এ আমি কল্পনাও করতে পারিনা!
আমার সাথে গল্প না করে
একের পর এক বিলীন করে দিচ্ছো নিস্তব্দ রাতটুকু
এ যেন আমি সইতেই পারিনা!
এ আমি মানতেই পারিনা।
আমাকে ছাড়া ভীষণ ভালো আছো ও শহরে
এ আমি ভাবতেই পারিনা।
আমাকে না দেখে কেটে যাচ্ছে বিকেলগুলো
এ আমি কল্পনাও করতে পারিনা!
আমার সাথে গল্প না করে
একের পর এক বিলীন করে দিচ্ছো নিস্তব্দ রাতটুকু
এ যেন আমি সইতেই পারিনা!
আমার কণ্ঠস্বর না শুনে যে তুমি থাকতেই পারতেনা
দিনের পর দিন সে তুমিই পার করে দিচ্ছো
অন্যের সাথে,
এ আমার বিশ্বাস করতে ভীষণ কষ্ট হয়।
আমার নাম ধরে যে তুমি
শত সহস্রবার জপমালা করতে থাকতে,
সে তুমিই এখন অন্য কাউকে 'বউ' ডাকো
এ যেন আমি শুনতেই পারিনা!
দিনের পর দিন সে তুমিই পার করে দিচ্ছো
অন্যের সাথে,
এ আমার বিশ্বাস করতে ভীষণ কষ্ট হয়।
আমার নাম ধরে যে তুমি
শত সহস্রবার জপমালা করতে থাকতে,
সে তুমিই এখন অন্য কাউকে 'বউ' ডাকো
এ যেন আমি শুনতেই পারিনা!
আমি জাগিয়ে না দিলে যে তুমি
বিছানা ছেড়েই উঠতে চাইতেনা
সে তুমিই এখন রাতের পর রাত
লেপ্টে থাকো অন্য কারো পাশে,
এ প্রতিহিংসায় যেন আমার বাঁচতে ইচ্ছে করেনা!
বিছানা ছেড়েই উঠতে চাইতেনা
সে তুমিই এখন রাতের পর রাত
লেপ্টে থাকো অন্য কারো পাশে,
এ প্রতিহিংসায় যেন আমার বাঁচতে ইচ্ছে করেনা!
প্রতিদিন আমার লেখা গল্প-কবিতা পড়তে
যে তুমি অপেক্ষায় থাকতে।
যে তুমি অপেক্ষায় থাকতে।
সে তুমিই কিনা এখন অন্য কারো দেয়া
বাজারের লিস্ট বুকপকেটে ভাঁজ করে রাখো,
এ শুনে আমি নিজেকে সামলাতে পারিনা!
আমার চাপাহাসি শুনে
তোমার কানে যে চুম্বনের অনুভূতি জাগাতো,
সে তুমিই কিনা এখন ইচ্ছে অনিচ্ছেয়
ঠোঁট ডুবাও অন্য কারো ঠোঁটে
এ শুনে আমার মরে যেতে ইচ্ছে করে!
তোমার কানে যে চুম্বনের অনুভূতি জাগাতো,
সে তুমিই কিনা এখন ইচ্ছে অনিচ্ছেয়
ঠোঁট ডুবাও অন্য কারো ঠোঁটে
এ শুনে আমার মরে যেতে ইচ্ছে করে!
আমার সরলতা যে তোমায় মুগ্ধ করেছিল
সে তুমিই এখন অন্যের চুলের জটলা ছাড়াও
এ আমার ক্যামনে পরাণে সয়?
শীতের রাতে জানালার পাশে বসে
ঠকঠক করে কাঁপতে কাঁপতে
যে তুমি কল্পনায় হেঁটে যেতে
শিশিরভেজা ঘাসে,ভোরের মেঠোপথে
অথবা বিকেলের ধুয়াশামাখা নদীর পারে;
সে তুমিই কিনা এখন সংসারের ১০১ টা
জণ্জ্ঞাল মাথায় নিয়ে শুকনো মুখে হেঁটে বেড়াও
ঢাকার সব ব্যস্ত রাস্তায়,
এসব গল্প শুনে আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনা।
ঠকঠক করে কাঁপতে কাঁপতে
যে তুমি কল্পনায় হেঁটে যেতে
শিশিরভেজা ঘাসে,ভোরের মেঠোপথে
অথবা বিকেলের ধুয়াশামাখা নদীর পারে;
সে তুমিই কিনা এখন সংসারের ১০১ টা
জণ্জ্ঞাল মাথায় নিয়ে শুকনো মুখে হেঁটে বেড়াও
ঢাকার সব ব্যস্ত রাস্তায়,
এসব গল্প শুনে আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনা।
আয়নায় মুখ দেখতে গিয়ে যে তুমি
কল্পনায় ভাবতে-
আমি তোমার চুল ঠিক করে দিচ্ছি,
সে তুমিই এখন দিনের পর দিন উস্কোখুস্কো হয়ে থাকো
এ কেমন করে হয় আমি বুঝতে পারিনা।
একেকটা উপন্যাস শেষ করে ভীষণ আবেশে
যে তুমি আমায় অনুভূতি জানাতে
সে তোমারই এখন অন্যের প্যানপ্যানানি
শুনতে শুনতে দিনরাত পার হয়
এও আমি চিন্তা করতে পারিনা!
কল্পনায় ভাবতে-
আমি তোমার চুল ঠিক করে দিচ্ছি,
সে তুমিই এখন দিনের পর দিন উস্কোখুস্কো হয়ে থাকো
এ কেমন করে হয় আমি বুঝতে পারিনা।
একেকটা উপন্যাস শেষ করে ভীষণ আবেশে
যে তুমি আমায় অনুভূতি জানাতে
সে তোমারই এখন অন্যের প্যানপ্যানানি
শুনতে শুনতে দিনরাত পার হয়
এও আমি চিন্তা করতে পারিনা!
অফিস শেষে বাসায় ফেরার সময়
'আমিও অপেক্ষায় আছি'-কল্পনা করে
মাইলের পর মাইল যে জ্যামও তোমার ভালো লাগতো,
সে তুমিই কিনা এখন বাসায় ফিরে
অবশ হয়ে লুটিয়ে পড়ো ঘামে ভেজা শরীরে
এ খবর শুনে আমিও ভীষণ অবশ হয়ে পড়ি
মনে মনে
'আমিও অপেক্ষায় আছি'-কল্পনা করে
মাইলের পর মাইল যে জ্যামও তোমার ভালো লাগতো,
সে তুমিই কিনা এখন বাসায় ফিরে
অবশ হয়ে লুটিয়ে পড়ো ঘামে ভেজা শরীরে
এ খবর শুনে আমিও ভীষণ অবশ হয়ে পড়ি
মনে মনে
শরতের বিকেলে আমারই হাত ধরে
একসাথে কাশবনে হাঁটবে বলে কথা দিয়েছিলে,
সে তোমারই কিনা এখন প্রতিটি বিকেল কাটে
বিষণ্ণ অলসতায়!
আমার সাথে থাকার সময়
শীতের যে সন্ধ্যাটুকু পার করতে
র্যাকেট হাতে টেনিস মাঠে,
সাংসারিক ব্যস্ততায় কোনদিকে যে
হারিয়ে যায় সন্ধ্যাটুকু
তা নাকি তুমি টেরই পাওনা।
একসাথে কাশবনে হাঁটবে বলে কথা দিয়েছিলে,
সে তোমারই কিনা এখন প্রতিটি বিকেল কাটে
বিষণ্ণ অলসতায়!
আমার সাথে থাকার সময়
শীতের যে সন্ধ্যাটুকু পার করতে
র্যাকেট হাতে টেনিস মাঠে,
সাংসারিক ব্যস্ততায় কোনদিকে যে
হারিয়ে যায় সন্ধ্যাটুকু
তা নাকি তুমি টেরই পাওনা।
আমি থাকবোনা ভাবতেই যে তোমার
নিঃশ্বাস ভারি হয়ে আসতো
সে তোমার এখন দিন যায় হাজারো দীর্ঘশ্বাসে
এ খবর শুনে আমি নিজেকে বেঁধে রাখতে পারিনা!
ছোট ছোট কিছু স্বপ্ন,ইচ্ছেদের অবাধ খেয়ালি,
দুজনের সাংসারিক খুনসুটি আর নির্ভেজাল কিছু সুখে একসাথে জীবন পার করার
যে স্বপ্ন দেখেছিলাম দুজন;
আমাকে একা ফেলেই সে কিনা তুমি
স্বপ্নদের দুঃস্বপ্নে ভিড়াও,
ইচ্ছেদের যখন খুশি তখন খুন করো নিজহাতে।
সে খুঁনসুটি হয় এখন তোমার নিত্য সাংসারিক জটিলতা!
আর সুখী হওয়ার অতৃপ্ত আশা নিয়ে
যে তুমি একাই পালিয়েছিলে,
সে তুমিই এখন কষ্ট চেপে
সুখী মানুষদের চরিত্রে অভিনয় করো,
সে গল্প শুনে আমিও ভাল থাকতে পারিনা।
দুজনের সাংসারিক খুনসুটি আর নির্ভেজাল কিছু সুখে একসাথে জীবন পার করার
যে স্বপ্ন দেখেছিলাম দুজন;
আমাকে একা ফেলেই সে কিনা তুমি
স্বপ্নদের দুঃস্বপ্নে ভিড়াও,
ইচ্ছেদের যখন খুশি তখন খুন করো নিজহাতে।
সে খুঁনসুটি হয় এখন তোমার নিত্য সাংসারিক জটিলতা!
আর সুখী হওয়ার অতৃপ্ত আশা নিয়ে
যে তুমি একাই পালিয়েছিলে,
সে তুমিই এখন কষ্ট চেপে
সুখী মানুষদের চরিত্রে অভিনয় করো,
সে গল্প শুনে আমিও ভাল থাকতে পারিনা।
আমি কি-ছু-ই পারিনা,
আমি ভাবতে পারিনা,সইতে পারিনা
মেনেও নিতে পারিনা।
তবুও আমায় থাকতে হয় তোমার দূরত্বে;
তবুও আমি তোমায় ছুঁতে পারিনা।
আমি ভাবতে পারিনা,সইতে পারিনা
মেনেও নিতে পারিনা।
তবুও আমায় থাকতে হয় তোমার দূরত্বে;
তবুও আমি তোমায় ছুঁতে পারিনা।
valo legeche
ReplyDelete